খামার করার ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক সুফল
প্রকাশক: Admin সর্বশেষ আপডেট : ২৬, মার্চ, ২০২৪ বিভাগ: বিবিধ, মুরগি পালন
সব সময় তো আমরা রোগ, ব্যাধি, ব্যবস্থাপনা আর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। আজ চেষ্টা করছি একটু ভিন্ন আলোচনা করতে।
ধর্মীয় মূল্যবোধ :-
আমি একজন মুসলিম। আর আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ সব কিছুর মালিক। পৃথিবীর সমস্ত সৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ, লালন পালন, খাদ্য প্রদান সব তাঁর হাতে। নীল তিমি হতে ক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়া পর্যন্ত সবার খাবার তিনি নির্ধারন করে রেখেছেন। একটু সুক্ষভাবে চিন্তা করুন আল্লাহ আমাদের উসিলায় কিছু প্রাণীর খাবার দাবার এবং পরিচর্যার ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিব্যাচে আমরা ১০০০ বা তার কম কিংবা বেশী মুরগীর খাবার দাবারের দ্বায়িত্ব নেই। তাদের বড় করে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করি। আল্লাহ নিশ্চই এসব কাজের উত্তম প্রতিদান দিবেন। কারন আল্লাহ সুবিচারক। সুতরাং পশু পাখি পালনকে আমরা শুধুমাত্র ব্যবসায়ীক চিন্তা না করে ইবাদত হিসেবেও নিতে হবে।
*শুধু ইসলাম নয় সব ধর্মাবলম্বী বন্ধুরা বিশ্বাস করেন সৃষ্টিকর্তা সকল কিছুর বিধায়ক।
রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধ :-
আজ সবাই বলে গার্মেন্টস শিল্প আমাদের দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে,বৈদেশিক মুদ্রা আনছে। কিন্তু দেখুন এর ফলে কিন্তু দেশের মেধার কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। যদি মেধার বিকাশ না হয় তা হলে ভবিষ্যতে এসব বৈদেশিক মুদ্রা কোন কাজে আসবে না কারন বিদেশ থেকে বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে কনসালটেন্ট আনতে হবে এবং ১০০০ জনের বেতন একজনকে দিতে হবে। কিন্তু সেই কনসালটেন্ট যদি আমরা দেশে তৈরি করতে পারি টাকাটা আমাদের দেশেই থাকবে। আর মেধাবী জাতি গঠনের মূল হাতিয়ার হল প্রানিজ আমিষ। দৈনিক একটি ডিম, এক গ্লাস দুধ আর একটুকরা মাছ বা মাংস পারে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মেধাবী করতে। তাই বলব একমাত্র আমরাই মেধাবী জাতি গঠনের মূল কারিগর। কারন পুষ্টিহীন জাতি মেধাবী হওয়া অসম্ভব।
জনস্বাস্থ্যে ভূমিকা:-
মানুষের সঠিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত হয় সঠিক মানের খাবারে। তাই আমরা যারা মানুষের খাদ্য নিয়ে কাজ করি তারাই হলাম জনস্বাস্থ্যের মূল রক্ষী। যদি খাবার খারাপ হয় ডাক্তাররা কিছুই করতে পারেন না। সুতরাং আমরাই পারি নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করে মানুষকে সুস্থ রাখার সর্বোচ্ছ ভূমিকা পালন করতে এবং এটা আমরা করছি।